কাঁচা কলার গুনাগুন এবং পুষ্টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক, আজ আমি আপনাদের মাঝে জানাবো কাঁচা কলার গুনাগুন এবং পুষ্টি সম্পর্কে। হাজার টাকার চেয়েও সামান্য কাঁচা কলা প্রতিদিন খেলেই মিলবে নানা উপকারিতা। কিভাবে কাঁচা কলা খেলে উপকার পাবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। আশা করছি আজকের লেখাটি খেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন।





আপনারা হয়তো অনেকেই কাঁচা কলার বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছেন। কিন্তু কিভাবে খেতে হয় কিভাবে খেলে বেশি উপকার পাবেন সে সম্পর্কে জানাবো। কাঁচা কলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কাঁচা কলার গুনাগুন এবং পুষ্টি সম্পর্কে আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না চলুন জেনে নিই কাঁচা কলার গুণাগুণ এবং পুষ্টি সম্পর্কে।

ভূমিকা 

ডায়রিয়া হলে অসুস্থ শরীরকে সুস্থ করতে কাঁচা কলা খুবই উপকারী নিমিষেই ভালো করে দেয় ডায়রিয়া কলেরা বিভিন্ন জাতীয় রোগ গুলো। কাঁচা কলাতে থাকে পটাশিয়াম যা শরীরকে সজীব রাখতে সাহায্য করে। এবং এবং কাঁচা কলায় পটাশিয়াম থাকে যা হৃদরোগ এর জন্য উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কাঁচা কলা বেশ উপকারী। কাঁচা কলাতে থাকে পটাশিয়াম।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সের ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আয়রন, শর্করা, ভিটামিন, মিনারেল সহ আরো পুষ্টিগুণ সম্পন্ন যা নিত্যদিনের খাদ্য তালিকায় রাখলে কোলেস্টেরল ভালো রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত কলা খেলে ইমিউনিটি ও সিস্টেম ভালো রাখে। ওজন কমাতে চাইলে কাঁচা কলা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন কারণ এক থেকে দুইটি সবুজ কাঁচা কলা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

কাঁচা কলার গুনাগুন

পাকা কলার গুনাগুন হয়তো আমরা অনেকেই জানি নিত্যদিনের তালিকায় একটা করে পাকা কলা সবার তালিকায় থাকে। তবে কি কাঁচা কলাও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। জানেন কি সে সম্পর্কে/যদি জানতে চান তাহলে কাচা কলার গুনাগুন সম্পর্কে জানুন। অনেকেরই ধারণা পাকা কলার থেকে কাঁচা কলার তেমন কোন ধারনাই নেই বললেই চলে তবে পাকা কলার মত কাঁচা কলাতেও রয়েছে দারুন উপকার যা মানব শরীরের জন্য দারুন উপকারী।
কাঁচা কলাতে থাকে এনজাইম আইরন যা ডায়রিয়া কলেরা পেটের নানারকম সমস্যা দূর করে। ডায়রিয়া হলেই চিকিৎসকরা কাঁচা কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। হজমের সমস্যা এমনকি পেট খারাপ হলেও নিয়মিত কাঁচা কলা চিবিয়ে অথবা এক চিমটি লবন দিয়ে সিদ্ধ করে খেলে বেশ উপকার পাওয়া যাবে। কাঁচা কলা খেলে ক্যালসিয়াম এবং হাড়ের মজবুত বৃদ্ধি করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও কাঁচা কলা উপকারী।

কাঁচা কলার পুষ্টিগুণ

আপনারা হয়তো অনেকেই কাঁচা কলার পুষ্টিগুণ সম্বন্ধে বিশেষ ধারণা রয়েছে। তবে আজ আমি আরো জানাবো কাঁচা কলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। কাঁচা কলা তে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ যেমন কাঁচা কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা না কমিয়ে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। বেশি উপকার পাবেন কাঁচা কলা এক তিনটি লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে ভর্তা বানিয়ে খেলে, অথবা কাঁচা কলা কেটে রান্না করে খেলে। কাঁচা কলা তে থাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফেট, আইরন ইত্যাদি।
কাঁচা কলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানলে অবাক হবেন, কাঁচা কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যা উচ্চ রক্তচাপ কমায় এবং হৃদপিন্ড কে ভালো রাখতে সাহায্য করে। কাঁচা কলা ডাইয়েটরি ফাইবারে ভরপুর যা খেলে ওজনঝড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও কাঁচা কলায় কেলোজেন উপাদান থাকে যা ত্বক ভালো রাখে।

কাঁচা কলার ছয় উপকারিতা

জেনে নিই কাঁচা কলার দশ উপকারিতা যা খেলে নিমিষেই ভালো হয়ে যাবে মরণব্যাধি রোগগুলো। চলুন জেনে নিই, কাঁচা কলার দশ উপকারিতা গুলো কি কি।

হার্টের জন্য ভালোঃ কাঁচা কলা এতটাই পুষ্টি সমৃদ্ধ যা খেলে এক নিমিষেই হাটের সমস্যা ভালো করে। পেশী সংকুচিত, রক্ত নিয়ন্ত্রণ, হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এটি প্রাকৃতিক ভাসোডিলেটর হিসেবে কাজ করে।

ওজন কমায়ঃ কাঁচা কলাই থাকে স্ট্যাচ ও পেকটির নামক ফাইবার যা খেলে পেট অনেকক্ষণ ধরে রাখে এবং দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি করে কাঁচা কলা সিদ্ধ খেতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ ডায়রিয়া আমাশা কলেরা ডায়াবেটিস হার্ট রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করতে কাঁচা কলা উপকারী। এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ পেটের ভিতর থাকা খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে। আঁশযুক্ত সবজি হয় খুব তাড়াতাড়ি হজম শক্তি বৃদ্ধি হয়। ডায়রিয়া মত রোগ দ্রুত দূর করতে সাহায্য করে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ অনেকেই হয়তো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু কিভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে সে সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। কাঁচা কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যার দ্রুত হৃদরোগ থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সাহায্য করে। প্রতিনিয়ত কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি খুব সহজে কমাতে পারবেন।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ মারাত্মক ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় অনেক ব্যক্তি। কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে ব্যাকটেরিয়া এবং ইনফেকশনকারী জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে যা কোলন ক্যান্সার রোগ থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে। ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা প্রতিনিয়ত কাঁচা কলা খেলে খুব সহজেই ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।



কাঁচা কলার স্বাস্থ্য উপকারিতা

আপনারা হয়তো অনেকেই পাকা কলা খেতে ভালোবাসেন। পাকা কলা খাওয়ার পাশাপাশি কাঁচা কলা খেলে স্বাস্থ্যকর বেশ কয়েকটি উপকার পাবেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে কাঁচা কলা খেলে কিডনির সমস্যা থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। অনেক সময় ডায়রিয়া হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কাঁচা কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। কাঁচা কলা ভীষণ উপকারী একটি সবুজ সবজি। জা নিমিষে খেলেই মুক্তি পাবেন বিভিন্ন মরণব্যাধি রোগ থেকে।
নিয়মিত কাঁচা কলা খারাপ মরণব্যাধি অসুখ বাস করলে শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরে থাকা ক্ষতিকর টক্সিন উপাদান শরীর থেকে বেরিয়ে আসে। তার সাথে সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো বাড়িয়ে দেয়। কাঁচা কলার ঝোল, ভাজি,ভর্তা যে কোন উপায়ে খেতে পারেন যেকোনো সময় খেলে কাঁচা কলার স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো পাবেন।

গ্যাস্ট্রিক রোগীদের জন্য কাঁচা কলা

পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে তারা জানান কাঁচা কলা খেলে গ্যাস্টিকের সমস্যা হয় না। তাছাড়াও কাঁচা কলার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন যা এক নিমিষেই শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। পুষ্টির ভান্ডার হচ্ছে কাঁচা কলা। অনেকেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কারণে কাঁচা কলা খাওয়া ছেড়ে দেন তারা হয়তো জানেন না যে এই কাঁচা কলা খেলেই গ্যাস্ট্রিক ও এসিডিটির সমস্যা দূর করে। মধ্যে এই কলা ধনী-গরীব সকলের খেতে পারবেন। এবং অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক এবং এসিডিটি সমস্যা থাকলে কাঁচা কলা খাবেন। দেহের পুষ্টি ঘাটতি থাকলে তাদের নিয়মিত একটি করে কলা খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।

লেখক এর মন্তব্য

আপনাদের মাঝে বিস্তারিত আলোচনা করেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো। আপনারা হয়তো ভালোভাবেই জানতে পেরেছেন কাঁচা কলার গুনাগুন এবং পুষ্টি সম্পর্কে। যেকোনো ভাবেই কাচা কলা খান না কেন উপকার পাবেন। এমনকি গ্যাসটিক ডায়রিয়া কিডনি ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও কাঁচা কলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আশা করছি কাঁচা কলার গুনাগুন এবং পুষ্টি সম্পর্কে আজকের লেখা সেরা আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে ও উপকৃত হবেন।

যদি, আমার আজকের লেখা আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে এমন স্বাস্থ্যকর টিপস পেতে পাশে থাকুন। আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আজকের লেখা আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনাদের মতামত গুলো কমেন্ট বক্সে গিয়ে জানাতে পারেন। আপনার পৃথিবী হোক সুন্দরময় ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url