বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সের ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সের ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সের ভিসার জন্য আবেদন করার কয়েকটি বিশেষ প্রক্রিয়া রয়েছে। এবং এ ভিসা করার জন্য কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়। সর্বনিম্ন ৯০ দিনের কম সময়ের জন্য বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সের যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।


চলুন জেনে নেই, বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সের ভিসা প্রসেসিং ২০২৪ সম্পর্কে।বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সের ভিসা প্রসেসিং এর জন্য কয়েকটি বিষয় আপনাকে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। কিছু কিছু শর্ত মোতাবেক ফ্রান্সের আবেদন পূরণ করতে হবে। ভ্রমণের জন্য কিনবা পড়ালেখার ক্ষেত্রে কিভাবে ফ্রান্সে যেতে পারবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আর দেরি না করে চলুন শুরু করি।

বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সের ভিসা প্রসেসিং ২০২৪

আজ আমরা জানবো, ভিসার ধরণ নির্ধারণ আবেদন ফ্রম পূরণ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ পাসপোর্ট আবেদন ফরম ফ্লাইট বুকিং আর্থিক ক্ষমতার প্রমাণ ভিসা ফি বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান ভিসা প্রসেসিং সময় পাসপোর্ট সংগ্রহ ইত্যাদি।বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সের ভিসার জন্য ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে তথ্যগুলোর ওপর।

ভিসার ধারণ নির্ধারণঃ আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং সময়কাল অনুযায়ী আপনি কোন ভিসার জন্য আবেদন করবেন তা ভালোভাবে নির্ধারণ করুন। সাধারণত ফ্রান্সের জন্য ভিজিট ভিসা, পর্যটন, ব্যবসা, পারিবারিক আত্মীয় সাথে দেখা করার জন্য হয়ে থাকে।
আবেদন ফরম পূরণঃ ফ্রান্সের শেঞ্জেন ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। এবং সেটা ফ্রান্স ভিসা ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ

কিছু কিছু ডকুমেন্ট সাধারণত ফ্রান্সের ভিসার জন্য প্রয়োজন হয়। এই তথ্যগুলো না থাকলে ফ্রান্সের ভিসা কখনো হবে না। তাই আপনাদের জানাবো কোন কোন বিষয়গুলো জানলে ফ্রান্সের ভিসার জন্য সহজেই আবেদন করতে পারেন।

পাসপোর্টঃ আপনার পাসপোর্টটি ভিসার আবেদন জমা দেওয়ার তারিখ থেকে কমপক্ষে ৩-৪ মাস পর পর্যন্ত বৈধ হতে হবে। অন্তত দুটি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে।

আবেদন ফরমঃ সম্পূর্ণ পূরণ করা এবং স্বাক্ষর করা শেঞ্জেন আবেদন ফরম।

ফটোঃ ফ্রান্সে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট সাইজের ছবি অবশ্যই তুলে রাখতে হবে এবং ছবি হবে বায়োমেট্রিক্স ছবি।
ফ্লাইট বুকিংঃ ফ্রান্সে আসা যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ফ্লাইট টিকেট।

হোটেল রিজাভেনশনঃ ফ্রান্সে থাকার সময়কালীন হোটেলে বুকিং বা থাকার ব্যবস্থা থাকবে।

বীমাঃ স্বাস্থ্য বীমা বা শেঞ্জেন অঞ্চলে আপনার পুরো থাকার সময়ে অন্তত 30000 ইউরো পর্যন্ত কাভার করবে।

আর্থিক ক্ষমতার প্রমাণঃ আপনার ভ্রমণ এবং ফ্রান্সে থাকা সময়কালে জন্য পর্যাপ্ত অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। এটি ব্যাংক চাকরির সার্টিফিকেট, স্কলারশিপ লেটার, স্টেটমেন্ট হতে পারে।

কাভার লেটারঃ আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং বিস্তারিত সমূহ একটি চিঠি থাকবে।

ভিসা ফিঃ নির্দিষ্ট সময়ে নির্ধারিত ভিসা ফি জমা দিতে হবে।


ভিসা আবেদন জমা

আবেদন গ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট ভিসা আবেদন কেন্দ্র (VFS Gobal) বা ফ্রান্সের দ্রুতবাসে ভিসা আবেদন জমা দিতে হবে। Visa Gobal বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত।

সাক্ষাৎকারঃ কিছু ক্ষেত্রে, ভিসা অফিসার সাক্ষাৎকারের জন্য আপনাকে ডাকতে পারে। এ সময় আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ নেই তথ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হতে পারে।
ভিসা প্রসেসিং সময়ঃ ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার পর সাধারণত ১৫ কর্মজীব এর মধ্যে ফলাফল জানা যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এর থেকে বেশি সময় নিতে পারে।

পাসপোর্ট সংগ্রহঃ অনুমোদিত হলে আপনাকে ভিসা স্ট্যাম্প করা পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। এবং আপনি (VAS Gobal) বা দ্রুতবাস থেকে একটি সংগ্রহ করতে হবে।

লেখক এর মন্তব্য

একটি ফ্রান্সের ভিজিট ভিসার জন্য বাংলাদেশ থেকে আবেদন করার সাধারণ ধাপ সঠিক এবং আপডেট তথ্যের জন্য ফ্রান্সের দ্রুতবাস (VAS Gobal) ওয়েবসাইটের প্রদর্শন করতে হবে। আর অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সের ভিসা প্রসেসিং ২০২৪ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান লাভ করতে হবে। আমার আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url