জন্ডিসের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
প্রিয় পাঠক আপনারা কি জন্ডিসের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন, যদি জেনে না থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন। জন্ডিস একটি রোগের লক্ষণ যা সব রকম বয়সের মানুষেরই হয়। অতিরিক্ত জন্ডিসের কারনে রক্তের বিলিরুবিন মাত্রা বেড়ে যাই। জন্ডিসের লক্ষণ সমূহ বোঝা যায় ত্বক, শরীর এবং চোখের অন্যান্য টিস্যু যখন হলুদ হয়। জন্ডিসের কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই।
জন্ডিস হলে অতিরিক্ত জ্বর হয়। প্রসবে হলুদ রং ধারণ করে। রক্তে অতিরিক্ত
বিলিরুবিন বেড়ে গেলে চোখ এবং শরীর গাঢ় হলুদ হয়। জন্ডিস রোগ টা হচ্ছে
ভাইরাল হেপাটাইটিস। এটা থেকে রক্ষা পেতে আমাদের প্রচুর পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে
আজ আমি জন্ডিসের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ভূমিকা
জন্ডিস প্রধানত তিন ধরনের প্রি হেপাটিক , হেপাটিক , পোস্ট হেপাটিক। ভাইরাল
হেপাটাইটিস গুলো হল এ, বি, সি, ডি, এবং ই ভাইরাস। জন্ডিস হলে হিমোগ্লোবিনের
মাত্রা কমে যায়। জন্ডিস হলে ঘন ঘন বমি, জ্বর জ্বর ভাব, পেটব্যথা, চুলকানি ও
প্রসবের রং হলুদ হয়। জন্ডিস হলে কোন রকমের ঔষধ খাওয়া যাবে না। জন্ডিস অনেক
কারণেই হতে পারে।জন্ডিস প্রতিরোধ করতে বেশি পরিমাণে পানি পান করা ,তাজা ফল যেমন
টমেটো, শসা , গাজর , পেপে ইত্যাদি অধিক পরিমাণে খাওয়া এবং বিভিন্ন শাকসবজি
সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা। ভাইরাল হেপাটাইটিস হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ও
চিকিৎসা নিয়া অত্যন্ত জরুরি।
জন্ডিসের কারণ সমূহ
রক্তের লোহিত রক্ত কণিকা ভেঙ্গে যাওয়া হচ্ছে জন্ডিসের কারণ সমূহ। রক্তের
বিলুরুবিনের মাত্রা অধিক বেড়ে যাই। টাইফয়েড এবং ম্যালেরিয়া জন্ডিসের কারণ হতে
পারে। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের জন্ডিসের ঝুঁকি থাকে।
জন্ডিস হলে অবহেলা করা যাবে না খুব তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ভাইরাল হেপাটাইটিস হলে অধিক পরিমাণে বিশ্রাম করতে হবে এবং ঠান্ডা জাতীয় খাবার
খেতে হবে। বিশেষ করে গ্লুকোজ, ডাবের পানি, গাজর ইত্যাদি খেতে হবে।
জন্ডিসের লক্ষণ সমূহ
- ত্বক হলুদ
- চোখের মিউকাস হলুদ
- গাঢ় হলুদ প্রসাব
- বমি বমি ভাব
- প্রচন্ড জ্বর
- চুলকানি
- পেট ব্যাথা
- রক্তশূন্যতা
- মদপান
জন্ডিসের প্রতিকার
জন্ডিস দ্রুত ভালো করতে আখের রস বা আখ চিবিয়ে খাওয়া পেয়ারা, টমেটো, গাজর, শসা,
তরমুজ এবং ঠান্ডা জাতীয় ফল বেশি করে সেবন করা। ডাবের পানি গ্লুকোজ খেলেও জন্ডিস
খুব সহজে ভালো হয়। বিভিন্ন প্রকার ওষুধ খাওয়া থেকে সাবধানতা গ্রহণ করতে হবে।
জন্ডিসের ওষুধি পাতা হচ্ছে আরহেল। আরহেলের পাতা প্রতিদিন খেলে জন্ডিস ভালো হয়।
পালং শাক খেলেও জন্ডিস ভালো হয়।
জন্ডিস হলে কি কি টেস্ট করতে হয়?
জন্ডিস হয়েছে কিনা এর জন্য টেস্ট করাতে হবে । কি কারনে জন্ডিস হয়েছে এর জন্য
হেপাটাইটিস এ, বি, সি, সবগুলোই পরীক্ষা করাতে হবে। রক্তের বিভিন্ন টেস্ট এবং
প্রসাব পরীক্ষা করাতে হবে। লিভারে জন্ডিস হয়েছে কিনা এগুলো শনাক্ত করার জন্য
এমআরসিপি টেস্ট রক্তের কারণে জন্ডিস হলে হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফোরসিস করা
হয়।
আরোও পড়ুনঃ
মুখের ব্রণ দূর করার সেরা ৭টি টিপস
যাদের ঘনঘন জন্ডিস হয় তাদের ব্লাড টেস্ট করা হয় সাথে সিবিসিও করে। যাদের
অনেকদিন ধরে জন্ডিস থাকে তাদের জন্য ক্যালরি ডিপপ্রাইবেশন টেস্ট করা হয়।
জন্ডিস হলে করনীয়
জন্ডিস হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নেয়া হচ্ছে মূল চিকিৎসা। প্রচুর পরিমাণে
তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। সুস্থ থাকতেই হেপাটাইটিস এ এবং বি টিকা গ্রহণ করতে
হবে। তাজা ফল, বেল বিভিন্ন শাকসবজি ইত্যাদি খেতে হবে। রোজ কম করে হলেও ২ লিটার
পানি পান করতে হবে। এনজাইম সমৃদ্ধ রোস্ট খালি পেটে খেতে হবে।
জন্ডিস রেগির খাবার তালিকা
- কুমড়ো
- মিষ্টি আলু
- পালং শাক
- ফুলকপি
- শালগম
- টমেটো
- পেঁপে
- লেবু
জন্ডিস হলে কি খাওয়া যাবে না
জন্ডিস হলে দুধের তৈরি কোন খাবার খাওয়া যাবে না। তরকারিতে তেল, অতিরিক্ত হলুদ
এবং লবণ কম দিয়ে খেতে হবে। সিদ্ধ ডিম বা ভাজা ডিম ও গরুর মাংস জন্ডিস হলে খাওয়া
যাবে না। না ফুটিয়ে পানি পান করা যাবেনা। অ্যালকোহল ফ্যাট যুক্ত খাবার এবং
অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
লেখকের মন্তব্য
জন্ডিস হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে । প্রচুর পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে
যেগুলো খাদ্য খেলে জন্ডিস অতিরিক্ত হবে সেগুলো খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। প্রচুর
পরিমাণে পানি পান করতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। বিভিন্ন টেস্ট করে দেখতে
হবে জন্ডিস আছে কিনা।যদি আমার আর্টিকেলটি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই অন্যদের পড়ার
সুযোগ করে দিবেন। লাইক কমেন্ট করে পাশে থাকবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url